প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮:৫৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি মনোরম স্থান, যা চা-বাগান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এবং নৈসর্গিক পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। “বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী” নামে পরিচিত এই স্থানটি প্রকৃতি ও শান্তির জন্য পর্যটকদের অন্যতম পছন্দ।
শ্রীমঙ্গল তার অসংখ্য চা-বাগানের জন্য বিখ্যাত। এই বাগানগুলোতে সবুজ চায়ের গাছ সারি ধরে সাজানো, যা মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করে। পর্যটকরা চা-বাগান ঘুরে দেখতে পারেন এবং চা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারেন।
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে সাত রঙা চা একটি অবশ্যই উপভোগ্য অভিজ্ঞতা। স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে এই চা পাওয়া যায়, যা ভিন্ন ভিন্ন স্তরে সাতটি স্বাদ নিয়ে গঠিত।
শ্রীমঙ্গলের অন্যতম আকর্ষণ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। এটি একটি জীববৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণীর আশ্রয়স্থল। এখানে গিবন, হরিণ, এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। উদ্যানটি ট্রেকিং এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জলপ্রপাত, শ্রীমঙ্গলের নিকটে অবস্থিত। ঝর্ণার স্রোত এবং আশেপাশের পাহাড়ি দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
বাইক্কা বিল একটি বিশাল হাওর অঞ্চল, যা শীতকালে পরিযায়ী পাখির জন্য বিখ্যাত। পাখিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি স্বর্গরাজ্য।
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে স্থানীয় খাসিয়া এবং মণিপুরি সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ রয়েছে। তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং হস্তশিল্প পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।
বাইক্কা বিলে পাখি দেখুন।
শ্রীমঙ্গল সারা বছরই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। তবে শীতকালে আবহাওয়া আরামদায়ক থাকায় এটি ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। বর্ষাকালে চা-বাগানের সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়।
শ্রীমঙ্গল প্রকৃতি, চা-বাগান, এবং সংস্কৃতির এক অনন্য মিলনস্থল। যারা শহরের কোলাহল থেকে দূরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুঁজছেন, তাদের জন্য শ্রীমঙ্গল একটি আদর্শ গন্তব্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শ্রীমঙ্গল অবশ্যই আপনার ভ্রমণ তালিকায় থাকা উচিত।