প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১:২৭:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
পুঠিয়া রাজবাড়ির ইতিহাস ষোড়শ শতাব্দীর মুঘল আমল থেকে শুরু। রাজা নীলাম্বরের সময়ে এই রাজবাড়ি নির্মাণ করা হয়। এখানে বিভিন্ন মন্দির, প্রাসাদ এবং জলাশয় রয়েছে, যা ঐ সময়ের ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব প্রকাশ করে। পুঠিয়া রাজবংশের রাজারাই এই স্থাপনাগুলো তৈরি করেন, যা আজও তাদের ঐতিহ্য বহন করে।
পুঠিয়া রাজবাড়ি স্থাপত্যশৈলীর দিক থেকে অনন্য। এখানে মন্দির ও প্রাসাদগুলোর নকশায় মুঘল ও বাংলা স্থাপত্যের মিশ্রণ দেখা যায়। রাজবাড়ির প্রধান অংশের পাশাপাশি দোলমঞ্চ, গোবিন্দ মন্দির, শিব মন্দির, এবং অন্যান্য স্থাপনাগুলো প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করে।
গোবিন্দ মন্দির পুঠিয়া রাজবাড়ির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শন। এর টেরাকোটা কাজ অসাধারণ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিব মন্দিরগুলোর একটি এখানে অবস্থিত, যা রাজবাড়ির অন্যতম আকর্ষণ।
দোল উৎসব উপলক্ষে নির্মিত এই মঞ্চটি রাজবাড়ির সাংস্কৃতিক জীবনের অংশ ছিল।
ঢাকা থেকে রাজশাহীতে বাস, ট্রেন বা বিমানে পৌঁছে পুঠিয়া উপজেলায় যাওয়া যায়। রাজশাহী শহর থেকে স্থানীয় যানবাহনে মাত্র ৪০-৫০ মিনিটেই রাজবাড়িতে পৌঁছানো সম্ভব।
শীতকাল পুঠিয়া রাজবাড়ি ভ্রমণের জন্য সেরা সময়। এ সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে, যা ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করে তোলে।
পুঠিয়া রাজবাড়ি বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর স্থাপত্যশৈলী এবং ঐতিহাসিক মূল্য বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে।